প্রতিবছর ২১ জুন দিনটি বড় হয়ে যায় কেন?
সূর্যদয় (ছবি সংগৃহীত) অফিসের ডেডলাইন ঘাড়ে নিয়ে দিনভর কাজ করেও যখন কুলাতে পারেন না তখন বারবারই মনে হয়, দিনটা বড্ড ছোট, কয়েকঘণ্টা বাড়িয়ে পাওয়া গেলে মন্দ হয় না। কিংবা দারুণ কোথাও ঘুরতে গেছেন, সন্ধ্যায় ঘরে ফিরতে হবে।
অস্ফুটে বেরিয়ে আসে, দিনটা আরেকটু বড় হলে কী হতো? ২৪ ঘণ্টা বেঁধে দেওয়া দিন রাতে আজকে ১২ ঘণ্টার ভাগাভাগিতে ছেদ পড়বে। আজ ২১ জুন, বছরের সবচেয়ে দীর্ঘতন দিন। ছোট থেকেই জেনে আসছেন নিশ্চয় ২১ জুন দীর্ঘতম দিন, আর ২২ ডিসেম্বর দীর্ঘতম রাতের কথা। আজকের দিনটা কতটুকু বড়? আবহাওয়া অফিসের তথ্য বলছে, আজ দিন থাকবে ১৩ ঘণ্টা ৩৭ মিনিট।
আজ সূর্যোদয় হয়েছে ৫টা ১২ মিনিটে আর সূর্যাস্ত যাবে ৬টা ৪৯ মিনিটে। সৌরজগতের নিয়ম অনুযায়ী পৃথিবী সূর্যের চারদিকে ঘোরার সময় একদিকে একটু হেলে থাকে। ফলে কখনও উত্তর গোলার্ধ সূর্যের কাছে আসে, কখনও দক্ষিণ গোলার্ধ।
আর আজ উত্তর গোলার্ধ সূর্যের সবচেয়ে কাছে থাকায়, আজকের দিনটি সবচেয়ে বড়। কেন এই ছেদ? কেন আজ লম্বা সময় ধরে দিন থাকবে?
কর্কট আর মকর নামে দু’টি ক্রান্তি রেখা চলে গেছে পৃথিবীর ওপর দিয়ে। আর ওদের মধ্যে দিন কতটা বড় হবে সেটা ঠিক করে দেয় কর্কটক্রান্তি রেখা। ওটাকে উত্তরের রেখাও বলা যায়। ২১ জুন সকাল আর সন্ধ্যার সূর্যটা সবচাইতে বেশি হেলে থাকবে ওই উত্তরেই। আর ঠিক দুপুরবেলা সূর্য থাকবে কর্কটক্রান্তি রেখার একেবারে মাঝ বরাবর। ২১ জুনের কি কোনও নাম নেই? অনেকগুলো নাম আছে।
পৃথিবীর মানুষেরা কেউ একে বলে কর্কটক্রান্তিদিবস, কেউ বলে অয়ন দিবস। ইংরেজিতে একে পালন করা হয় সামার সলস্টিস ডে হিসেবে। এই দিবসে সূর্য আকাশে থাকবে মোট ১৩ ঘণ্টা ৩৭ মিনিট। সলস্টিস ল্যাটিন শব্দ। sol মানে সূর্য এবং sisterer মানে এক জায়গায় দাঁড়িয়ে থাকা।
তা সে যতই আজকে দাঁড়িয়ে থাকুক পৃথিবীর নিয়মে উত্তর গোলার্ধে আজকের পর থেকে ছোট হওয়া শুরু করবে দিন, আর রাত হবে বড়।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।